লক্ষ্মীপুরে শাশুড়ি হত্যা মামলায় প্রেমিক প্রেমিকার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আলোচিত শাশুড়ি রাহেমা বেগম (৫৫) হত্যা মামলায় পুত্রবধূ তাহমিনা আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক জসিমকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন জেলা জজ আদালতের বিচারক রাহিমুল ইসলাম।
সোমবার (১৯ জুন) সকালে দীর্ঘ শুনানি শেষে জেলা জজ আদালতের বিচারক রাহিমুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
পরকীয়া প্রেমিক জসিম জেলা কারাগারে থাকলেও তাহমিনা বেগম উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছেন বলে জানান, মামলার আইনজীবি কবির হোসেন মোল্লা।
মামলার আইনজীবি ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ ইং সালের ২১ এপ্রিল রাত ১১টায় রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের রাঘবপুর মসজিদ বাড়ী (নোয়া বাড়ী)র প্রবাসী কবির হোসেনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও তার প্রেমিক জসিম পরকীয়ার জেরে শাশুড়ি কে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এঘটনায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী তাহমিনা আক্তারকে বাড়ীর ভিতরে আটক করে রামগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দেন। পরদিন শাশুড়ি রাহেমা আক্তারের স্বামী আবু তাহের রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রামগঞ্জ থানার মামলা নং জিআর ৮৫/২১।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ১৬৪ ধারায় তাহমিনা আক্তার জবানবন্ধীতে স্বীকার করে ঐ দিন রাতে পরকীয়া প্রেমিক জসিমের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপ দেখে ফেলায় শাশুড়ি রাহেমা আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে প্রেমিক জসিম ও সে। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জসিমকে আটক করে। জসিম বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে।
এঘটনায় পুলিশ মামলার তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় তাহমিনা আক্তারের আত্মীয়স্বজন উচ্চ আদালত থেকে তাহমিনা আক্তারের জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে তাহমিনা আক্তার বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
মামলার আইনজীবি ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, তাহমিনা আক্তার ও তার প্রেমিক জসিমের ডিএনএ টেষ্ট ও জবানবন্ধী শুনে এ রায় প্রদান করেন জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রাহিমুল ইসলাম। তিনি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours