লেজারে শিশুর বিশেষ অঙ্গ পুড়ে ছাই: চিকিৎসক ও কর্মকর্তাসহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা

চিকিৎসক ও হসপিটালের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারনে ৩ বছর বয়সী শিশু মাহাদিকে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে বিশেষ অঙ্গ (পুরুষাঙ্গ) পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে চিকিৎসকসহ ৪জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন শিশুটির নানা রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের শাকতলা পাটোয়ারী বাড়ীর আনোয়ার হোসেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকালে রামগঞ্জ ইসলামীয়া হাসপাতাল (প্রাঃ) এর ডিএমএফ চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ সরোয়ার হোসেন, হসপিটালের পরিচালক সাইফুল্লাহ মানিক, রবিউল আলম রিয়াজ ও ডাক্তারের সহযোগী আবদুল্যাহ আল মাহমুদকে আসামী করে এ মামলা করা হয়।
শিশু মাহাদির নানা আনোয়ার হোসেন জানান, আমার নাতি মাহাদির সুন্নতে খৎনা করানোর গত ৩১ মে ২০২৩ তারিখ বেলা সাড়ে ১২টায় রামগঞ্জ শিশু পার্ক সংলগ্ন রামগঞ্জ ইসলামীয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে উল্লেখিত চিকিৎসক ও তার সহযোগীরা লেজার মেশিনের মাধ্যমে আমার নাতির মুসলমানি করানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আমার নাতির আত্মচিৎকার ভেসে আসলে আমরা বিচলিত হয়ে যাই। আমরা দ্রুত বিষয়টি জানার জন্য অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখি আমার নাতি মাহাদির পুরুষাঙ্গ পুরো পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। ঐ দিনই আমার নাতিকে নিয়ে নোয়াখালীর ডাক্তার ট্রাষ্ট ওয়ান হসিপটালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ৩দিন পর ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হসপিটাল/ মিডফোর্ড হসপিটালে অদ্যাবদি ভর্তি রয়েছে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালের কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক জানান, ইলেকট্রিক মেশিনের অতিরিক্ত তাপের কারনে তার পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ জ¦লে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। আমার নাতী আজীবনের জন্য পুরুষত্ব হারিয়েছে।
স্থানীয় কিছু লোকজন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমার নাতি হসপিটালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, আমরা তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা গতকাল আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। আমরা এ ঘটনার উচিত বিচার প্রার্থনা করছি।
এ ব্যপারে ইসলামিয়া হাসপাতাল কতৃপক্ষকে বার বার মোবাইলে কল দেয়ার পর সবগুলো নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হসপিটালের এক কর্মচারী জানান, মামলার হওয়ার পর থেকে হসপিটালে মালিক পক্ষের লোকজন খুব একটা আসেন না।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আহম্মেদ কবীর জানান, আমি এ মামলার ঘটনাটি জানি না। মামলার কপি হাতে পেলে অবশ্যই বিধিমতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ডিএমএফ চিকিৎসক এ ধরনের অপারেশন বা সুন্নতে খৎনা করাতে পারেন না।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক জানান, আমি এখনো উপশম ও ইসলামিয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলার কপি হাতে পাইনি।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours