রামগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

মোঃ তামজিদ হোসেন রুবেল

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ১৯ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে ইউছুফ নামের এক ৬০ বছরের লম্পট বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। সৃষ্ট ঘটনায় ধর্ষিতার মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে গত (২১ আগষ্ট) সোমবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারায় রামগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর গ্রামের জমাদ্দার বাড়ির ইউছুফ মিয়ার বসতঘরে। রামগঞ্জ মোহাম্মদীয়া পুলিশ ফাড়ির আইসি মোঃ মমিনুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর ভাটিয়ালপুর গ্রামের খলিল ব্যাপারী বাড়ির দিনমজুর আমির হোসেনের ১৯ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে পার্শ্ববর্তী জমাদ্দার বাড়ির মোঃ ইউছুফ মিয়ার বসতঘরে জিয়ের কাজ করতো। এরই সুযোগে লম্পট ইউছুফ বিভিন্ন সময়ে বসতঘরে প্রতিবন্ধীকে একা পেয়ে গত দুই তিন মাস থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার শারীরিক ভাবে যৌণ মেলামেশা করেন। সর্বশেষ গত ১৪ আগস্ট রাতে ঐ প্রতিবন্ধী মেয়েকে জোরপূর্বক শারীরিক মেলামেশা করার পর প্রতিবন্ধী বাড়িতে এসে তার পরিবারের লোকজনকে বিস্তারিত খুলে বলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ভাটিয়ালপুর সহ উপজেলা ব্যাপী জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে ধর্ষক ইউছুফ হোসেনকে না পেয়ে তার স্ত্রী আলেয়া বেগম জানান, আমার স্বামী ইউছুপ হোসেন একজন বৃদ্ধ মানুষ। সে সব সময় আমার সাথে থাকে। প্রতিবন্ধীর সাথে ধর্ষনের ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কারণ আমার এক ছেলে মোজাম্মেল হোসেন পুলিশে চাকরি করে, আরেক ছেলে ইতালিতে থাকে। সামাজিক ভাবে আমাদেরকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য এটি একটি সাজানো নাটক।

এই ঘটনায় প্রতিবন্ধীর বাবা আমির হোসাইন জানান, আমরা গরীব মানুষ। দিন মজুর, কোনো রকম কাজ করে খাই। আমার মেয়ের সাথে ধর্ষনের ঘটনাটি ইউছুফ হোসেনের ছেলে পুলিশ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমাদেরকে টেলিফোনে হুমকি ধমকি প্রদান করে। আমি এই ধর্ষক ইউছুফ এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক জানান, প্রতিবন্ধীর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours