রবিবার, ২৬ জুন ২০২২, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফাহমিদা ফেরদৌসী মৌসুমী একজন উচ্চ শিক্ষিত আধুনিক মানের মেয়ে। তিনি পড়ালেখায় বিবিএ ও এমবিএ কোর্স কমপ্লিট শেষে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে বাড়ির ছাদেই স্বল্প পরিসরে দেশী মুরগী ও গরুর খামার গড়ে তোলেন। গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী ও মাছের খাদ্য তৈরীর একটি ফিড মিলস্ কারখানায় চাকুরীর সময় স্থির করেন নিজেই কিছু করার। প্রায় ৫ বছর ফিড কারখানায় চাকুরীর বাস্তব অভিজ্ঞতা ও যুব উন্নয়ন থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষন নিয়ে পরিবারের সহযোগিতায় বাসার ছাদেই প্রথমে গড়ে তোলেন মুরগী ও গরুর খামার। তাঁর খামারের গরু ও মুরগীর খাবার বাজারের রাসায়নিকযুক্ত ফিড না খাওয়ায়ে ভেষজ উপায়ে বাড়িতে নিজেই তৈরী করা খাবার খাওয়ান। এ কারনে তাঁর খামারের গরু ও মুরগীর এখন পর্যন্ত কোন প্রকার রোগবালাই নেই বরলেই চলে। শিক্ষক বাবা আব্দুল হামিদের এক মাত্র মেয়ে ফাহমিদা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্ত এলাকা বাগজানার পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। ফাহমিদা সর্বোচ লেখাপড়ার পাঠ শেষে সোনার হরিণ একটা চাকুরীর পিছু না ছুটে নিজেই স্বাভলম্বী হওয়ার প্রচেষ্টায় কিছু করছে এ যেন শিক্ষিত বেকার যুব সমাজের জন্য একটা দৃষ্টান্ত।
ফাহমিদার খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ১২-১৩ বছর বয়সের এতিম ছোট্ট একটি মেয়েকে নিয়ে রাতে মুরগীর দেওয়া ডিমগুলো কুড়িয়ে ঝুড়িতে ভরছে। গরু ও মুরগীর ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে নিজের তৈরী খাবার দিচ্ছে দু’জনে মিলে। এতদূর পড়ালেখা করে আপনে এত কষ্টের ও ময়লাযুক্ত কাজে আসলেন কেন জানতে চাইলে ফাহমিদা বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশ-বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির মুখেই শোনা যায় তাদের আজকের দিনে উঠে আসার গল্প। আমিও আমার অভিজ্ঞতা ও কঠোর পরিশ্রমে অন্য ব্যাক্তির লাভবানের হাতিয়ার না হয়ে সেটাত নিজের জন্যও করতে পারি। এমন প্রত্যয় নিয়েই আমি বাবা-মায়ের সহযোগিতায় বাসাতেই প্রথমে স্বল্প পরিসরে খামার করেছি। দিন দিন এর প্রসারও ঘটছে। প্রতিদিন মুরগী থেকে ডিম ও গরু থেকে দুধ পাচ্ছি, দুধ বাজারে বিক্রয় করলেও খামারে মুরগীর সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষে ডিম থেকে প্রতিনিয়ত বাঁচ্চা ফোটান হচ্ছে। এমন কাজ করতে দেখে এলাকার অনেকেই অনেক মন্তব্য করে কেউ আবার উৎসাহ যোগাচ্ছেন। তবে সরকারি স্বল্পসুদে ঋণ পেতাম তাহলে খামারটি ও খাদ্য তৈরীর ব্যবস্থার প্রসার ঘটাতাম। এতে নিজের লাভের পাশাপাশি অনেকের বেকারত্বর অবসান হত।
আপনার মূল্যবান মতামত লিখুন