শনিবার, ২৫ জুন ২০২২, ০৫:০১ অপরাহ্ন
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মামলার বাদী মোঃ আলম এবং স্বাক্ষী আবু মুছা সুমন নামের দুই ভাই প্রানের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ১০ নভেম্বর রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করার পর থেকে হামলাকারী বড়ভাই প্রকাশ্যে ছোটভাই আলম ও আবু মুছা সুমনকে হত্যার ভয় দেখিয়ে হুমকী-ধমকী অব্যাহত রাখায় উল্টো বাদী ও স্বাক্ষী বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামের কালা মিঝি বাড়িতে। এদিকে থানায় মামলা দায়েরের ৪দিন পরও আসামী কামাল গ্রেফতার না হওয়ায় বাদী ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে বাদী অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়দবেপুর কালা মিঝি বাড়ির মৃত কালা মিয়ার ছেলেদের দুই ভাইয়ের ৫/৬ বছরের ছোট বাচ্চাদের মধ্যে হাতাহাতি মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই সূত্র ধরে ওই তুচ্ছঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে বড় ভাই কামাল হোসেন গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে ছোট ভাই আবু মুছা সুমনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এসময় ব্যাপক রক্তক্ষনের পর আবু মুছা সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আহতবস্থায় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় হামলাকারী কামাল ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হলে কৌশলে আবু মুছা সুমন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বর্তমানে সুমন পালিয়ে অন্যত্র চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
এব্যাপারে বাদী ও বাড়ির লোকজন জানায়,আবু মুছা সুমনকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার ভাই আলম রামগঞ্জ থানায় মামলা করায় ঐ দিন সন্ধ্যাই কামালের পরকীয়া প্রেমিকা জয়দেবপুর মোল্লা বাড়ির মৃত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মমতাজ বেগম ও তার ছেলে হাবিব দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কালা মিঝি বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায় এতে বাদীর বোন সেলিনা ও ভাগীনা শাওনকে কুপিয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে হামলাকারী কামাল হোসেনের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হান্নান বলেন কামাল হোসেন পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত লিখুন