রবিবার, ২৬ জুন ২০২২, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
হুমায়ুন আহমেদ : প্রত্যেক শিক্ষার্থীর চোখেই সবচেয়ে সুন্দর প্রাঙ্গণ তাদের নিজেদের বিদ্যাপীঠ। তা যদি টিনের চালা কিংবা ইট পাথরের শক্ত দালান হোক; তাও তার কাছে ভালোবাসার স্থান, শান্তির স্থান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্লাস, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ক্যান্টিনের গোল টেবিলে কফির আড্ডায় কতনা সুরের মিলন— সবই যেন দমকা হাওয়ায় স্থির হয়ে গেছে ।গল্পটা ঢাকা ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটি—ডি
‘‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই,আজ আর নেই,
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই,আজ আর নেই’’।
ক’দিন আগেও ক্যাম্পাসের সেই নামাজ ঘর কতো মুসল্লিতে ভর্তি ছিল, সারাদিনের সকল ক্লান্তি যেনো মুছে যেত অযুর সেই পবিত্র পানিতে। জামাত করে নামাজের কাতারে সবাই যেনো এক স্রষ্টার সেবাই মগ্ন ছিল ।হয়ত ফাঁকা পড়ে আছে চিরচেনা সেই বাদাম বিক্রির জায়গাটাও। কিশোর ছেলে-মেয়েগুলো প্রায় প্রতিদিন আসতো তাদের ছোট্ট দু’হাত ভর্তি গোলাপ বা বেলি ফুলের মালা নিয়ে। পুরো ক্যাম্পাস হেঁটে হেঁটে বিক্রি করতো দু’বেলা দুমুঠো আহার জোগাতে।আচ্ছা শূন্য ক্যাম্পাসে কি এখনও ওরা আসে? সবসময় ব্যস্ত থাকা সিআর কি এখনো আগের মতো ব্যস্ত থাকে? আচ্ছা যে ছেলেটা প্রতিদিন সকালের ক্লাস মিস করতো আর ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতো; সে এখন অবশ্যই ঘুমানোর অনেক সময় পাচ্ছে! নাকি নতুন কোনো মাঠ, নতুন কোনো ঘাটের সন্ধান পেয়েছে? আচ্ছা ক্লাসের ফার্স্ট বয় কি এখনো রাত জেগে বইয়ের মাঝে মুখ গুজে থাকে?আবার কবে ফেরা হবে সেই চিরচেনা সবুজ ক্যাম্পাসে। আবার কবে শুনতে পাবো পাখিদের সেই কিচিরমিচির গান। আবার কবে আড্ডায় জমে উঠবে ক্যান্টিনের সেই গোল টেবিল। আবার কবে অডিটরে শুদ্ধস্বর কবিতা মঞ্চের গান কিংবা বিতর্ক মঞ্চের যুক্তিনির্ভর বক্তব্যে প্রতিপক্ষকে ল্যাঙ মেরে ফেলে দেয়ার শব্দ শুনবো। আবার কবে সাংবাদিক সমিতির সেই তরুণ সাংবাদিকরা মাঠে বিচরণ করবে, পক্ষ-বিপক্ষকে উপেক্ষা করে নিষ্ঠার সাথে লড়বে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে।আতঙ্কে
আপনার মূল্যবান মতামত লিখুন